রহস্যময় লাশবাহী এম্বুলেন্স। রহস্যময় ঘটনা

 রহস্যময় লাশবাহী এম্বুলেন্স। রহস্যময় ঘটনা 

আচ্ছালামুয়ালাইকুম সবাইকে।  আশা রাখছি আপনারা সকলে খুব ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভাল আছি। আজ থেকে আমাদের ব্লগ সাইটে মাঝে মাঝে একটা করে রহস্যময় ঘটনা তুলে ধরা হবে।  শুরু হিসাবে আমি আজকে আমাদের গ্রামের বাড়ির বহুল আলোচিল লাশবাহী এম্বুলেন্স এর ঘটনাটি তুলে ধরতে চাচ্ছি। 

ঘটনাটি আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগের। আমি তখন ঢাকায় একটা সরকারি কলেজে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা করছি। হঠাৎ একদিন সকালে বাবা ফোন করলেন, ফোনটা রিসিভ করতেই বাবা কান্না জরিত কন্ঠে বলছিলেন রায়হান আর নেই বা। আমিত পুরাই হতবাক এইত অল্প কয়দিন আগেই আমি বাড়ি থেকে রায়হান ভাই কে হাসিখুশি দেখে আসলাম। 

কিভাবে মারা গেছেন জিজ্ঞেস করতেই বাবা বললেন রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছে।  রায়হান ভাই নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের একজন আধা সরকারি চাকুরিজীবী যেকিনা পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারি।  তার ছোট ছোট দুইজন ছেলে আছেন। অজ্ঞাত কারনে তাদের পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে বাচ্চা প্রসবের সময় মারা যান, তার ছোট বোন শুকিয়ে হাড্ডিসার হয়ে মারা যান।  বেচে থাকার মধ্যে রায়হান ভাই আর তার একটা বোন বেচে ছিল। 

যাইহোক মুল কাহিনীতে ফিরে যাই। বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম কিভাবে মারা গেলেন তখন বাবা আমাকে বলল। একটা চাকুরির পদন্নোতির কারনে ঢাকায় যাচ্ছিলো আর কম টাকায় যেতে রড বোঝায় ট্রাকে রডের উপরে বসে যাচ্ছিলো।  ট্রাকটি যমুনাসেতু পার হয়ে টাংগাইলে একটা ব্রিজে ওঠার সময় ঝাকুনিতে রডগুলো ট্রাক থেকে পরতে থাকে সাথে রায়হান ভাইও পরে যান এবং তার উপরেও রডের বোঝা পরে এবং সে সেখানেই ইন্তেকাল করেন। যারা রডের বোঝা সরিয়ে রায়হান ভাইকে বের করেছিল তাদের একজন বাবাকে বলেছিলেন যে রায়হান ভাই নাকি রডের বোঝাটা এমনভাবে ধরে ছিলেন যাতে মনে হচ্ছিল যে সে অনেক চেষ্টা করেছে রডের বোঝাটা সরিয়ে ফেলার।

 যাইহোক আম্বুলেন্সে করে লাশ নিয়ে আসতে বিকাল৷ লাশ এনে রায়হান ভাইদের বাসার সামনে রেখে এম্বুলেন্স আমাদের বাড়ির সামনে রেখে ড্রাইভার বেশ কিছু সময় রেস্ট নিয়ে পরে চলে যান। ঘটনার শুরু এর পর থেকে। আমাদের বাড়িটা আমাদের পাড়ার একবারে প্রথমে যার কারনে যেই বাজারে বা কোথাও গেলে আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যেতে হয়। রায়হান ভাই মারা যাবার পরেরদিন থেকে একটা অবাক করা ঘটনা লক্ষ করতেছিলেন কিছু কিছু মানুষ যারা আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া আসা করে। কেও কোন কারনে বাড়ি ফিরতে রাত করে ফেল্লেই আমাদের বাড়ির সামনে একটা এম্বুলেন্স দেখতে পেতেন কিন্তু যখনই সাহস করে কেও কাছে যেতেন দেখতেন কিছুই নেই।

 এভাবে চলতে থাকল প্রায় ৪০ দিনের মত। মানুষরা কিছু রাতে চলাফেরা কমিয়ে দিলেন এবং আস্তে আস্তে এটা বন্ধ হয়ে গেল কিন্তু এখনো সবার কাছে একটা রহস্য রয়ে গেল কেন রাতের বেলা এম্বুলেন্স টি দেখা যাচ্ছিল? এটার ব্যাক্ষা এখনো পাওয়া যায়নি।

আপনাদের এই বিষয়ে কোন ধারনা থাকলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। পরবর্তী ঘটনা নিয়ে খুব শীগ্রই ফিরে আসব সে অব্দি ভাল থাকুন ভাল রাখুন আশেপাশের মানুষদের।

কোন মন্তব্য নেই

Jason Morrow থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.