জাপানের লাংগুয়েজ স্কুলে পড়তে যাওয়ার সঠিক গাইডলাইন্স | Study in Japan From Bangladesh

জাপানের লাংগুয়েজ স্কুলে পড়তে যাওয়ার সঠিক গাইডলাইন্স | Study in Japan From Bangladesh

জাপান বাংলাদেশ সম্পর্ক অনেকদিনের কিন্তু সে তুলনায় জাপানে বাংলাদেশি খুব একটা বেশি নেই তবে সম্প্রতি অনেক বেশি ভিসা হচ্ছে সেক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু মেজারমেন্টের উপর নির্ভর করেই ভিসা দিচ্ছে। জাপানে সাধারানত দুই ভাবে ভিসা পাওয়া যায়। একটা হলো স্টাডি ভিসা আর একটা হল জব ভিসা। আজকের পোস্টে আমি আপনাদের স্টাডি ভিসায় যাওয়ার পদ্ধতি এবং প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা করব। সঠিক তথ্য নিখুতভাবে জানতে ব্লগটি পুরোটা পড়বেন। 


স্টাডি ভিসায় সাধারনত তিন ভাবে যাওয়া যায় প্রথমত জাপান স্কলারশিপসহ বা ছাড়া গ্রাজুয়েশনের জন্য, দ্বিতীয়ত স্কলারশিপ সহ বা ছাড়া পোস্ট গ্রাজুয়েশনের জন্য এবং সবশেষ লাংগুয়েজ কোর্সে । আমার জানামতে সবচেয়ে বেশি ভিসা হচ্ছে এবং সবচেয়ে বেশি স্টুডেন্ট আছে লাংগুয়েজ কোর্সে । লাংগুয়েজ কোর্সে গেলে লাঙ্গুয়েজ শিখতে পারলে সবচেয়ে বেশি জবের সুযোগ তাদের জন্যই।


জাপান ভিসা ক্যাটাগরির মধ্যে কম্পেয়ার করলে দেখা যায় যে।সবচাইতে ইজি জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুলের ভিসা। এবছর এত পরিমান ভিসা হয়েছে যা বলার বাহিরে।


লাংগুয়েজ স্কুল সেশনঃ

আপনি চারটি সেশনে জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুলে আবেদন করতে পারবেন। জানুয়ারি,এপ্রিল,জুলাই,এবং অক্টোবর। প্রত্যেকটি শেসনের আবেদন শুরু হয়।চার মাস আগে থেকে।


লাংগুয়েজ স্কুলে ভর্তির জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

প্রথমত আপনার,HSC অথবা তার সমমান পাস থাকতে হবে।স্টাডি গ্যাপ এর ক্ষেত্রে।লাস্ট এডুকেশন থেকে নরমালি ফাইভ ইয়ার স্টাডি গ্যাপ এক্সেপ্টেবল।


যেসকল ডকুমেন্টস অবশ্যই লাগবেঃ 

১। একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং মার্কসিট

২। কেউ যদি অধ্যায়নরত অবস্থায় আবেদন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ইনস্টিউট থেকে সার্টিফিকেট অব এনরোলমেন্ট (certificate of enrollment) লাগবে। 

৩। জন্ম নিবন্ধন অথবা পাসপোর্ট এর কপি।

৪। জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স এর 160 ঘন্টার  সার্টিফিকেট।*If you have JLPT/NAT N5

৫। ফ্যামিলি রিলেশনশিপ সার্টিফিকেট


স্পন্সর এর ডকুমেন্টসঃ

১। এফিডেভিট অব রিলেশনশিপ

২। ইনকাম সোর্স এর পেপার

৩। ১৭ লাখ টাকার কাছাকাছি  ব্যাংক স্টেট্মেন্ট

৪। ফ্যামিলি সার্টিফিকেট

৫। NID ট্রান্সলেট করতে হবে ইংলিশে 

৬। ট্রেড লাইসেন্স

৭। TIN সার্টিফিকেট কমপক্ষে ৩ বছরের


এম্বাসিতে যে সমস্ত কাগজপত্র সাবমিট করতে হবে( ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল)

১। অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম (ডিউলি ফিল্ড আপ)

২। পাসপোর্ট সাইজ ছবি ( ২ ইঞ্চি * ২ ইঞ্ছি সাডা ব্যাকগ্রাউন্ড)

৩। সার্টিফিকেট অব এলিজিবিলিটি ( COE)

৪। আডমিশন সার্টিফিকেট ফ্রম জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল

৫। জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল এর আডমিশন/ টিউশন ফি এর Receipt

৬। সার্টিফিকেট অব জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি টেস্টN1-N5 (যদি থাকে)

৭। বাংলাদেশের জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল থেকে লাঙ্গুয়েজ স্কুল সার্টিফিকেট 

৮। একাডেমিক সকল সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, সকল মার্কসিট

৯। ভ্যালিড এয়ারলাইন্স বুকিং স্লিপ

১০। ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট

১১। স্পন্সরের ট্যাক্স সার্টিফিকেট এবং ৩ বছরের ট্যাক্স প্রদানের রশিদ

১২। Family tree with necessary passport copy /NID card/ Nikahnama to prove relationship with financial supporter (যদি বাবা মা ছাড়া অন্য কেউ স্পন্সর হয় সেক্ষেত্রে)

১৩। যেখান থেকে ল্যাঙ্গুয়েজ শিখেছেন সেখাঙ্কার স্কুলের ছবি, রিপ্রেসেন্টেটিভ এর নাম, ফোন নাম্বার এবং ঠিকানা

১৪। জাপানিজ যে বই আপনি পড়েছেন (Original)

১৫। Confirmation (applicant Japan side)


টিউশন ফিঃ

এটা যদিও স্কুলের উপর নির্ভর করে তবে আনুমানিক ৬.৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি লাগবে প্রথম বছরের জন্য তবে কিছু কিছু স্কুল ৬ মাসের টিউশন ফি নিয়েও ফাইল প্রসেস করে সেক্ষেত্রে ৩ লক্ষ টাকায় সেরে ফেলতে পারবেন প্রথম ৬ মাসের টিউশন ফি আর যেয়ে ইনকাম করে পরিশোধ করবেন। 


অন্যান্য খরচঃ

অন্যান্য খরচ,এয়ার টিকেট এবং পেপারস গোছানো প্রসেসিং খরচসহ সব মিলিয়ে ২.৫ লাখের মত লাগবে। 


কতক্ষন কাজ করতে পারবেনঃ 

সবসময় সপ্তাহের ২৮ ঘন্টা করে জব করার পারমিশন পাবেন এবং ভ্যাকেশনের সময় ৪০ ঘণ্টা।


এই ছিল আজকের বিষয়ে জাপান সম্পর্কে পর্যায়ক্রমে জাপানে পড়াশওনা নিয়ে আরো অনেক ব্লগ আসবে সো আমাদের সাথেই থাকুন।


কোন মন্তব্য নেই

Jason Morrow থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.